প্রতিষ্ঠান পরিচিতি.
মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি কসবা,আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় অহংকার,কসবা প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্বনামধন্য বিদোৎসাহী পিতা ও পুত্রদের স্মৃতি বিজড়িত কসবা তফজ্জল আলী ডিগ্রি কলেজটি কসবার কৃতি সন্তান,বরেণ্য রাজনীতিবিদ,সাবেক মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত জনাব তফজ্জল আলী(টি .আলী) সাহেবের নামানুসারে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তার সুযোগ্য সন্তানদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ৮ একর জমির উপর সুবিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে যার অগ্রনী ভূমিকা ছিল তিনি হলেন,তৎকালীন সংসদ সদস্য টি. আলী সাহেবের কনিষ্ট পুত্র উদীয়মান রাজনীতিবিদ জনাব লিয়াকত আলী।কলেজটি প্রতিষ্ঠার পরপরই সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর। ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত কসবা কো-অপারেটিভ কর্পোরেশন কলেজটি প্রতিষ্ঠার জন্য ৮ একর মূল্যবান জমি দান করেন। ২টি পুকুর ও ১টি লেক বেষ্টিত কলেজ ক্যাম্পাসটিতে ১টি সুন্দর খেলার মাঠসহ বৃক্ষরাজিতে মনোরম পরিবেশ বিদ্যমান। উল্লেখ্য যে, ভারত উপমহাদেশের ২জন খ্যাতিমান আইনবিদ ও রাজনীতিবিদ জনাব এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া সাহেব ও জনাব এডভোকেট তফজ্জল আলী(টি .আলী) সাহেবের বাড়ী কলেজটির খুবই নিকটে। কলেজের খুব কাছেই ঐতিহাসিক কসবা রেলস্টেশন রয়েছে।১৯৭১ সালে এই স্টেশনে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মহোদয় গণের মধ্যে জনাব মেজর এ.এন.এম ওয়াহিদুজ্জামান,জনাব একেএম জামালউদ্দিন মোস্তফা,জনাব এম শামছুল হক ও জনাব আব্দুল হামিদ খন্দকারের নাম উল্লেখযোগ্য । মেজর এ.এন.এম ওয়াহিদুজ্জামান কলেজটিতে ১৯৮৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে মানবিক,বিজ্ঞান ও বানিজ্য বিভাগ চালু করেন।১৯৯২ সালে অধ্যক্ষ জনাব এম শামছুল হক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজটিকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত করেন।২০১০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উপজেলায় প্রথম অনার্স কোর্স চালু হয়। এই কলেজ হতে অধ্যয়ন করে অনেক ছাত্র /ছাত্রী কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্তমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ফলাফলের মাধ্যমে পাশ করে ,অনেকেই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী কলেজের শিক্ষক ,কেউ ডাক্তার,প্রকৌশলী,প্রশাসনিক কর্মকর্তা,আইনবিদ ও রাজনীতিবিদ এবং সফল ব্যবসায়ী।শুধু পড়াশুনাই নয় খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসে জেলা ও উপজেলা পর্যাযে অংশগ্রহন করে ছাত্র/ছাত্রীগণ বিগত দিনে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।কলেজের সুশৃঙ্খল স্কাউট দল প্রতিটি জাতীয় দিবসে উপজেলা পর্যায়ে অংশগ্রহন করে কাঙ্খিত স্থান অর্জন করে থাকে। কলেজটিতে রয়েছে দক্ষ ,অভিজ্ঞ ,প্রবীণ ও নবীন শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তরিক শিক্ষক পরিষদ।তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অত্র এলাকার মাননীয় সাংসদ ,জনপ্রিয় জননেতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক মহোদয়ের দিক নির্দেশনা ও সহযোগীতায় কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় গভর্ণিং বডির সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। গভর্ণিং বডির অন্যান্য সদস্যগণ ও কলেজ পরিচালনায় দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে যথাযথ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।